‘যখন কোনো মানুষ মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন ধরনের আমল জারি থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়া। দুই. ওই জ্ঞান, যার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হয়। তিন. সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’
অর্থাৎ নেক সন্তান মা-বাবার শ্রেষ্ঠ অর্জন, তাই সন্তানকে সঠিক সময়ে শ্রেষ্ঠ গুণ শিক্ষা দেওয়া প্রতিটি মা-বাবার দায়িত্ব।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মানব জীবনের ভিত্তি গড়ে ওঠে জন্মের প্রথম ৭ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ শিশুর জন্মের পর প্রথম সাত বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এই সময় তার নৈতিক চরিত্র গঠন হয়, মানসিক বিকাশ হয়, আশেপাশের সব কিছু থেকে শিক্ষা লাভ করে, তাকে এই সময় ভালো গুণাগুণ শিক্ষা দেওয়া উচিত।
এই সময়ের মধ্যে তার যে স্বভাব চরিত্র গঠন হবে তা তার পরবর্তী জীবনে প্রতিফলিত হবে। তাই প্রতিটি পিতা মাতার উচিত সঠিক সময়ে তাকে সঠিক আদব-আখলাক শিক্ষা দেওয়া।
শৈশবের এই সময়ের মধ্যে যারা আদব-আখলাক শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হয় তারা পরবর্তীতে সমাজে নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত হয়। তাই আপনার ছোট্ট সোনামনিকে আদব-আখলাক শিক্ষা দেওয়ার এখনই সময়।
10 Books 24 page per book 1000tk
10 Books 24 page per book 1000tk
10 Books 24 page per book 1000tk
10 Books 16 page per book 750tk
10 Books 16 page per book 750tk
10 Books 16 page per book 750tk
10 Books 24 page per book 185tk
10 Books 24 page per book 185tk
10 Books 24 page per book 185tk
সব বাবা-মায়ের চেষ্টা থাকে সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। আর ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই কোনটা ভুল ও কোনটা ঠিক তার শিক্ষা দেওয়া অতি জরুরি। সাধারণত ছোটবেলার শিক্ষাটাই সন্তানের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এই সময়েই সন্তানকে ভালো কাজ ও গুণ সম্পর্কে জানাতে হবে, শেখাতে হবে। তবেই সে আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠবে।
হাদিসে এসেছে : সন্তানদের তোমরা আদব শেখাও ও উত্তম দীক্ষা দাও। (ইবনে মাজাহ)
আপনি যদি চান আপনার সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে তাহলে তাকে আদব-আখলাক এবং ইসলামিক মূল্যবোধ শিক্ষা দিন। কেননা এই মহৎ গুণগুলো থাকলে আপনার সন্তান আপনাকে সম্মান করবে, আপনার প্রতিটি কথা মেনে চলবে, আপনার জন্য সে দোয়া করবে, মা-বাবার জন্য এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। তাই আপনার সন্তানের জন্য আদব-আখলাক সিরিজ হতে পারে এক অনন্য উপহার।
সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে তাদের যথাযথ শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করা অভিভাবকের অন্যতম একটি গুরুদায়িত্ব। বলতে গেলে এটি একজন সফল মানুষের জীবনের বড় চ্যালেঞ্জ। মূলত মা-বাবার ওপরই এ মহান দায়িত্ব বর্তায়। সন্তানকে মানুষ করার মুখ্য ভূমিকা তাঁদেরই।
হাদিস শরিফে বলা হয়েছে : পুরুষ তার পরিবারের পরিচালক ও তাকে এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। আর নারী তার স্বামীর সংসার দেখভালের দায়িত্বশীল এবং এ ব্যাপারে তাকে কৈফিয়ত দিতে হবে। (বুখারি, হাদিস : ৮৯৩, মুসলিম, হাদিস : ৪৭২৪)
সন্তানের জন্য পিতার পক্ষ থেকে ভালো আদব- শিষ্টাচার শিক্ষাদান অপেক্ষা উত্তম কোনো উপহার নেই
অন্য হাদিসে এসেছে : সন্তানদের তোমরা আদব শেখাও ও উত্তম দীক্ষা দাও। (ইবনে মাজাহ)
পিতার দায়িত্ব
সন্তানকে মানুষ করতে হলে একজন বাবার প্রতিটি পদক্ষেপে থাকতে হবে বিচক্ষণতা ও দায়বদ্ধতার ছাপ। নেক সন্তানই হতে পারে পরকালের সম্বল।
এই বিশ্বাস নিয়ে সন্তানকে ঘিরে বুনতে হবে স্বপ্নের জাল। সন্তানের জন্য হালাল উপার্জনে মনোযোগী হতে হবে। নিজেকে বেকার বা অকর্মণ্য না ভেবে ছোট-বড় যেকোনো হালাল রোজগারে লেগে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাবার অলসতা বা মানবিক দুর্বলতা সন্তানের জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
মায়ের দায়িত্ব
সন্তান পৃথিবীতে এসে সর্বপ্রথম যাঁর সান্নিধ্য লাভ করে, তিনি হচ্ছেন মা।
সবচেয়ে বেশি যাঁর অনুসরণ বা অনুকরণ করে, তিনি হচ্ছেন মা। মায়ের প্রতিটি কথা ও কাজ, আচার-আচরণ শিশুর অবচেতন মনে রেখাপাত করে। তাই মায়ের কোল শিশুর প্রথম পাঠশালা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। তাই সন্তানের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে বাবার চেয়ে মায়ের দায়িত্ব বেশি। এর জন্য সময় দিতে হবে প্রচুর। বাইরে কর্মব্যস্ত সময় না কাটিয়ে সন্তানের দেখভালে সময়, সক্ষম ও মেধা কাজে লাগাতে হবে।
প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব আদরের সন্তানকে সঠিক সময়ে আদব-আখলাক শিক্ষা দেওয়া। সঠিক সময় পার হয়ে গেলে সন্তানকে যাদব-আখলাক শিক্ষা দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। প্রত্যেক মা-বাবা চায় , তাদের সন্তান আদর্শবান হবে, মা-বাবার সাথে ভালো আচরণ করবে, বড়দেরকে শ্রদ্ধা করবে, সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠবে।
একজন আদর্শ মা-বাবা পারে একজন আদর্শ সন্তান গড়ে তুলতে। আদর্শ সন্তান গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন সঠিক একটি গাইডলাইন। কিন্তু এই গাইডলাইন আমরা সঠিক সময়ে অর্জন করতে পারি না।
তাই যারা আদর্শ মা-বাবা হতে চান এবং সন্তানকে আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে কাহ্ন তাদের জন্য প্রয়োজন আমাদের এই কম্বো প্যাকেজটি।
এই প্যাকেজে যা থাকছে,
“সন্তান গড়ার ১১০ টিপস” এই বইটিতে শিশুর বয়স অনুযায়ী তাকে কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে, কিভাবে আদর করতে হবে, কিভাবে শাসন করতে হবে, কোন সময়ে তার সাথে কি ধরণের আচরণ করতে হবে , কি কি করা যাবে না , মা-বাবার কোন আচরণে রার কি ক্ষতি হবে , এই সব কিছুর বিশদ বর্ণনা দেয়া আছে। তাই সন্তানকে ভালো মানুষ হেসে গড়ে তুলতে প্রত্যেক মা-ববার এইবইটি পড়া উচিত।
আদব সিরিজ,
এই সিরিজে টোটাল ১০টা বই আছে। প্রত্যেকটা বইয়ে একটা বিষয়কেন্দ্র করে সুন্দর ও আকর্ষণীয় চিত্রের মাদ্ধমে গল্প উপস্থাপন করা, যা শিশুরা পছন্দ করে।
আপনিও যদি চান আপনার সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে তাহলে এখনই সঠিক সময় তাকে আদব-আখলাক শিক্ষা দেওয়া। কেননা এই মহৎ গুণগুলো সন্তানের ভিতরে থাকলে আপনাকে সে সম্মান করবে, আপনার প্রতিটি কথা মেনে চলবে, আপনার জন্য সে দোয়া করবে, মা-বাবার জন্য এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। প্রতিটি মা-বাবা সন্তানের উজ্জোল ভবিষ্যৎ কামনা করে, সবাই তাকে ভালোবাসুক এটা চায়। আর এই সময়ের মধ্যে আদব-আখলাকের এই গুণ না থাকলে ছেলে-মেয়েরা বেয়াদব হয়ে গড়ে ওঠে। কেউ তাকে পছন্দ করে না, তাই আপনার সন্তানের জন্য আদব -আখলাক সিরিজ হতে পারে সঠিক সমাধান।
যা গল্পে গল্পে আপনার সন্তাকে আদব-আখলাক শিক্ষা দিবে, প্রতি হৈয়ে একটি আদব ও একটি আখলাক শিক্কা দেয়া হয়েছে, বইয়ের প্রচ্ছদ ও বিভিন্ন রঙ ও চিত্র্যের মাধ্যমে শিশুদেরকে আকর্ষণ করা হয়েছে, যা শিশুরা খুব পছন্দ করে। আপনি আপনার সোনামনিকে গল্প শোনাবেন আর আপনার সন্তান শিখবে আদব -আখলাকের মহৎ গুণগুলো। যার মধ্যে তার মেধার বিকাশ হবে, তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে, পড়ালেখায় আগ্রো তৈরী হবে, এবং মোবাইলের আসক্তি কমে যাবে
কোম্ব প্যাকেজের মূল্য